আরব আমিরাত থেকে হেজেসকে মুক্ত করার বিষয়ে আশাবাদী যুক্তরাজ্য

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্রিটিশ গবেষক ম্যাথিউ হেজেসকে মুক্ত করে আনার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। হেজেসের পক্ষে তার পরিবারের সদস্যরা আরব আমিরাতের কাছে সাজা মার্জনার আবেদন জানিয়েছে উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, হেজেসকে গ্রেফতার করা ও গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। আর হান্ট বলেছিলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আরব আমিরাতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।ম্যাথিউ হেজেস

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক হিসেবে হেজেস আরব আমিরাতে ফিল্ডওয়ার্কে গিয়েছিলেন। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ২০১১ সালে ঘটা আরব বসন্তের প্রেক্ষিতে আরব আমিরাতের পরিবর্তিত নিরাপত্তা নীতি। এই স্পর্শকাতর বিষয়ে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানবন্দর থেকেই গত ৫ মে আটক করে। ম্যাথিউ হেজেস নামের ওই অভিযুক্ত একসময় আরব আমিরাতভিত্তিক একটি সামরিক- রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তার সহকর্মীদের ধারণা, আরব আমিরাত তার বিরুদ্ধে কাতারের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণ করতে চাইছে।

আরব আমিরাতের অ্যাটর্নি জেনারেল হামাদ আবদুল্লা আল শামসি বলেছিলেন, হেজেস পিএইচডি গবেষণার বিষয়টিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গোয়েন্দাবৃত্তিতে যুক্ত ছিলেন, যা ‘আরব আমিরাতের সেনাবাহিনী, অর্থনীতি ও রাজনীতিকে বিপদগ্রস্ত করেছে।’ কিন্তু কিন্তু হেজেসের স্ত্রী ড্যানিয়েলা তেজাদার ভাষ্য ছিল, হেজেসকে আটক করার পর থেকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধাও দেওয়া হয়নি।

গত বুধবার (২১ নভেম্বর) হেজেসকে আরব আমিরাতের আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। দেশটির আইনে বলা হয়েছে, কোনও বিদেশির ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন সাজা মানে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। হেজেসের বিষয়ে বিবিসির ‘অ্যান্ড্রু মার শোতে’ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, ‘আমি আশাবাদী যে এ বিষয়ে আমরা একটা পথ বের করতে পারব। আরব আমিরাত যুক্তরাজ্যের খুবই ঘনিষ্ঠ মিত্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমি তার সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলোচনা করব।’