থেরেসা মে এমপিদের ব্ল্যাকমেইল করছেন: রুপা হক

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে অগ্রগতি না থাকার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সমালোচনা করলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রুপা হক। ব্রিটিশ সংসদে বিরোধী দল লেবার পার্টির এই সংসদ সদস্য মনে করেন, মে ‘নো ডিল’ ব্রেক্সিটের ভয় দেখিয়ে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের ব্ল্যাকমেইল করছেন। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যকে তিনি এক অজানা গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।c6ee4dc9167b55e220d10b4426ed863a-5b095f346666d

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। সেই রায় বাস্তবায়নের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৯ সালে ২৯ মার্চ। ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা নির্ধারণে চলতে থাকে আলোচনা।

দীর্ঘ আলোচনা শেষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে একটি খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করেন। কিন্তু তা কার্যকরে দরকার ছিল ব্রিটিশ সংসদের অনুমোদন। গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে হেরে যায় মের ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন খসড়া চুক্তি। এখন আবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে ‘একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তি’ নির্ধারণের চেষ্টা করছেন মে।

রুপা হক শুরু থেকেই যুক্তরাজ্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ব্রেক্সিটের বিষয়ে আবার গণভোট আয়োজনের পক্ষে তার অবস্থান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রুপা হক মন্তব্য করেছেন, ‘থেরেসা মে ব্লাইন্ডফোল্ড ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে লাগামহীন স্বাধীনতা চান। আর এর জন্য তিনি সময়ক্ষেপণ করছেন ও সংসদ সদস্যদের ‘নো ডিল’ ব্রেক্সিটের ভয় দেখাচ্ছেন। প্রতিদিন আমার সঙ্গে যাদের কথা হয় তারা সবাই মনে করেন, এই পাগলামি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’

রুপা হক ‘বেটার ফর ব্রিটেন’ নামের একটি প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত। তারা মনে করেন, যুক্তরাজ্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আরও একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
রুপা হক বলেছেন, ‘কেউ বিশ্বাস করে না, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে কোনও সমাধানে উপনীত হওয়া যাবে। আমাদের কাছে স্বচ্ছ পরিকল্পনার কোনও তথ্য নেই। সবকিছুই শূন্যস্থান পূরণের মতো অবস্থায় রয়েছে। এমন অবস্থায় আমাদের উচিত, আবার জনগণের রায় নেওয়া। যুক্তরাজ্যের জনগনের আরেকটি গণভোটের সুযোগ পাওয়া উচিত।’