লন্ডনে বৃহত্তম অস্ত্র মেলায় সৌদি আরবকে যুক্তরাজ্যের আমন্ত্রণ

সৌদি আরবের কাছে অস্ত্রবিক্রিকে আদালত বেআইনি ঘোষণা করলেও লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য বৃহত্তম অস্ত্রমেলাতে রিয়াদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। আগামী সেপ্টেম্বরে এই অস্ত্রমেলা অনুষ্ঠিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।

987

ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী গ্রাহাম স্টুয়ার্ট সৌদি আরবের প্রতিনিধিকে অস্ত্রমেলায় আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টেই সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বিতর্কিত ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল নামের এই অস্ত্রমেলা লন্ডনের এক্সেল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।

গত মাসে ইয়েমেনের যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সৌদি আরবের কাছে অব্যাহত অস্ত্র বিক্রিকে বেআইনি বলে রুল দিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আপিল আদালত। ব্রিটিশ সরকারের অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনিস্ট দ্য আর্মস ট্রেড (সিএএটি) এর দায়ের করা এক মামলায় এই রুল জারি করা হয়।

সিএএটির দাবি যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমান ও বোমা ব্যবহার করে ইয়েমেনে বেসামরিক নাগরিক হত্যা করা হচ্ছে আর লঙ্ঘিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন। এর আগে ২০১৭ সালে একবার ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল দেশটির উচ্চ আদালত। ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে নতুন করে তথ্যপ্রমাণ হাজির করে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করা হলে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে রুল দেয় আপিল আদালত। তবে এই রুলের কারণে এখনই সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়নি।

২০১৪ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। তারপর থেকে  এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। কয়েক লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। পুরো ইয়েমেন রয়েছে দুর্ভিক্ষের মুখে। সৌদি জোটের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের।