৩৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তর আয়ারল্যান্ডে তল্লাশি অভিযান

যুক্তরাজ্যের এসেক্সে একটি লরিতে ৩৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তর আয়ারল্যান্ডের দুটি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তদন্তের অংশ হিসেবে মরদেহগুলো চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। 

4500 

বুধবার একটি লরি থেকে ৩৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি কিশোর ছিল। এ ঘটনায় উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে ২৫ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ জানায়, ট্রাকটি বুলগেরিয়া থেকে ১৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের হলিহেড এলাকায় প্রবেশ করে।

তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার রাতেই দুটি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই অভিযানের সঙ্গে গ্রেফতারকৃত লরি ড্রাইভারের যোগসূত্র আছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ২৫ বছরের মো রবিনসনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে এসেক্স পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পাশপাশি পুলিশ আরেকটি তদন্ত শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের পাচারকারী অপরাধীচক্রের এই ঘটনায় কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত মো রবিনসন যুক্তরাজ্যে মানুষদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন কিনা ও তদন্ত করা হচ্ছে।

মরদেহ উদ্ধারের পরই রাজনীতিবিদ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ন্যায় বিচারের দাবি তুলেছেন।

লরিতে একটি রেফ্রিজারেশন ইউনিট যুক্ত ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে ধারণা করা হচ্চে, ঠান্ডার কারণে অভিবাসীদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কারণ লরির কন্টেইনারের তাপমাত্রা -২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, লরিটি বুলগেরিয়া থেকে উত্তর ওয়েলসের হলিহেড এলাকা হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। কিন্তু পরে জানানো হয়, মরদেহ থাকা লরির কন্টেইনার অংশটি জিবরাগ হয়ে এসেক্সের পারফ্লিট এলাকায় রাত সাড়ে ১২টার পর প্রবেশ করেছে। কিন্তু সামনের অংশ, যেখানে চালক বসেন তা উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে আলাদাভাবে চালিয়ে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্স সেবা লরিটি সম্পর্কে জানার কয়েক মিনিট পূর্বে রবিনসন কন্টেইনারটি যুক্ত করেন।

এর আগে ২০০০ সালে কেন্টের ডোভার এলাকায় একটি কন্টেইনারে ৫৮ চীনা মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

এসেক্স পুলিশের চিফ সুপার অ্যান্ড্রিউ ম্যারিনার বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। অনেক মানুষ তাদের জীবন হারিয়েছে। যা ঘটেছে তা জানতে আমাদের তদন্ত চলছে। আমরা মরদেহগুলো শনাক্ত করার চেষ্টাক রছি। তবে আমি ধারণা করছি এটি সময় সাপেক্ষ হবে।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিতি প্যাটেল জানিয়েছেন, তদন্তের কাজে পুলিশকে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।