কিউবায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র!

২০১৪ সালে ভুল করে ইউরোপ থেকে কিউবায় গিয়ে পৌঁছায় একটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও এতে কোনও বিস্ফোরক ছিল না তারপরও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আশঙ্কা ছিল, কিউবা এ ক্ষেপণাস্ত্রের নানা খুঁটিনাটি দিক রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু দেশগুলোর হাতে তুলে দিতে পারে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

US missile

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তবে বিষয়টি সম্পর্কে অনেক কর্মকর্তার আগে থেকে জানা ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বিষয়টি জানান। তিনি যেহেতু এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অফিসিয়ালি দায়িত্বপ্রাপ্ত নন তাই নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি এ কর্মকর্তা।

ভূমি থেকে মাটিতে নিক্ষেপযোগ্য লেজার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ছিল ৪৫ কেজি। লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্রটি হেলিকপ্টার বা ড্রোনে মোতায়েন করা সম্ভব।

ওই কর্মকর্তা জানান, লকহিড মার্টিন কোম্পানির ন্যাটোর প্রশিক্ষণের জন্য ডামি ক্ষেপণাস্ত্র রফতানির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু লকহিডের লোকজন এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কিউবা পাঠিয়ে দেয়। এটা ছিল একটা শিপিং ইরর। পরে ডিভাইসটি ফিরিয়ে আনতে লকহিডের সঙ্গে জোর প্রচেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তারা চান না তাদের কোনও সামরিক প্রযুক্তি কোনও বিচ্ছিন্ন দেশের হাতে চলে যাক; ওই দেশটি সে প্রযুক্তি ব্যবহার করুক আর নাই করুক। তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, কিউবা প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অন্য দেশগুলোর কাছে এ ডামি ক্ষেপণাস্ত্র উন্মুক্ত করে দিতে পারে। দ্য গার্ডিয়ান।

/এমপি/