কপ২৬ ব্যর্থ হলে কী হবে, জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আসন্ন জরুরি কপ২৬ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একমত না হলে ‘খুব জটিল ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা’ দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার মতে, এসব ঘটনার মধ্যে থাকতে পারে গণঅভিবাসন, পানি ও খাবার নিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা।

বরিস জনসন এখন ইতালির রোমে অবস্থান করছেন। শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে তিনি সেখানে পৌঁছার পর সংবাদকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।

জনসন মনে করিয়ে দেন সেপ্টেম্বরে তিনি যা বলেছিলেন। বিভিন্ন কপ সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, আমি বলব সমান ছিল। আমি মনে করি সবার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা উচিত। যুক্তরাজ্য যা চেষ্টা করছে তা হলো ছয় বছর আগে প্যারিস সম্মেলনে নেট জিরো ধারণাকে বাস্তবায়ন করা। এজন্য কয়লার ব্যবহার কমানো, কম্বাসন ইঞ্জিনের ব্যবহার কমানো, লাখো গাছের চারা রোপণ এবং সবুজ বান্ধব প্রযুক্তির জন্য বিশ্বের জন্য নগদ অর্থ সংগ্রহ করা।

শুক্রবার রোমের পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জনসন রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ইতিহাস তুলে ধরেন। কপ২৬ সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বিশ্বের জন্য তার সতর্ক বার্তা পুনরায় তুলে ধরেছেন।

জনসন বলেন, বিশ্বের তাপমাত্রা যদি চার ডিগ্রি বা এর চেয়ে বেশি বাড়ানো হয় তাহলে দেখা যাবে সত্যিকার অর্থে জটিল ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা। উৎপাদন কমে যাবে, মরুকরণ বাড়বে, বাসস্থান ও চলাচলের ক্ষতি হবে, পানি ও খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়বে, ব্যাপক মানুষের স্থানান্তর হবে। এসব সমস্যা বিশ্বের জন্য রাজনৈতিকভাবে খুব কঠিন নিয়ন্ত্রণ করা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয় তা ছিল মূলত অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের ফল। সম্রাট নিজের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। মানুষ আসছিল পূর্ব থেকে, বিশ্বের সব জায়গা থেকে এবং ইউরোপ অন্ধকার যুগে প্রবেশ করে, যা স্থায়ী ছিল দীর্ঘ সময়। মূল কথা হলো, এমনটি আবারও ঘটতে পারে। মানুষের এতটা অহংকারী হওয়া উচিত না যে ভাববে ইতিহাস শুধু একমূখী।

জনসন আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে গ্লাসগো আমরা যদি পৃথিবীর তাপমাত্রা সীমিত করতে নিশ্চিত হতে না পারি তাহলে আমাদের সত্যিকার অর্থে মানবতার জন্য সংকটের মুখে পড়ব। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান