যুক্তরাষ্ট্রের আরও ৫ লাখ কূটনৈতিক নথি ফাঁস করলো উইকিলিকস

Capture‘ক্যাবলগেট’-র ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রের আরও ৫ লাখ নথি ফাঁস করেছে। সোমবার ফাঁস করা এসব নথি ১৯৭৯ সালের। এসব নথিতে ইরানের বিপ্লব, মক্কা দখল সংক্রান্ত মার্কিন কূটনৈতিক নথি রয়েছে। মোট ফাঁস করা নথি সংখ্যা ৫ লাখ ৩১ হাজার ৫২৫।

এক বিবৃতিতে উইকিলিকসের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জানিয়েছেন, আধুনিক যুগের ‘ইয়ার জিরো’ বলে যদি কিছু কোনও বছরকে বিচার করতে হয় তাহলে তা হবে ১৯৭৯ সাল।

প্রসঙ্গত, ইয়ার জিরো বলতে কোনও জাতির সংস্কৃতি, অর্থনীতি সবকিছু বিপ্লবের মাধ্যমে ধ্বংসের ফলে নতুন সৃষ্টির সময়কে বোঝানো হয়।

বিবৃতিতে অ্যাসাঞ্জ জানান, ১৯৭৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে রয়েছে ইরানের বিপ্লব, সৌদি আরবে ইসলামি গণজাগরণ, ইসরায়েল-মিশর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি। এসব ঘটনা যে শুধু শক্তির ভারসাম্য বদলে দিয়েছিলো তা নয় বরং তেল, জঙ্গি ইসলাম ও বিশ্বের সম্পর্কের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল।

অ্যাসাঞ্জ বলেন, মক্কায় গণবিদ্রোহ সৌদি আরবের ওয়াহাবিবাদের দিকে চূড়ান্তভাবে নিয়ে যায়। এতে ইসলামিক মৌলবাদের বিকাশ ও সৌদি-মার্কিন জোট আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করে তোলে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭৯ সালেই আফগানিস্তান আক্রমণ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ। অপারেশন সাইক্লোনের নামে বিলিয়ন ডলার মুজাহিদিনদের পেছনে ব্যয় করে সিআইএ। এর মধ্য দিয়ে আল-কায়েদার উত্থান ঘটে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় নেমে আসে।

এতে আরও বলা হয়, ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানে ইসলামিকরণ বৃদ্ধি পায়। ওই সময় পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাসকে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একই সময়ে ইরানে জিম্মি ঘটনা ঘটেছিল। সাদ্দাম হোসেনও ক্ষমতা গ্রহণ করেন ১৯৭৯ সালে।

অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, ১৯৭৯ সালে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে বিশ্বে। সেগুলো সম্পর্কে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভূমিকার কথা জানা যাবে এসব ফাঁস হওয়া নথিতে।

/এএ/