খবরে বলা হয়, নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথা এর আগেই জানিয়েছিল ওয়ালমার্ট। তাতে ৫৯টি নতুন, সম্প্রসারিত ও নতুন জায়গায় স্থাপিত আউটলেটের কথা বলা হয়েছিল। এসব আউটলেটের পাশাপাশি তাদের ই-কমার্স সেবার জন্য প্রয়োজন হবে নতুন ১০ হাজার কর্মী।
ওয়ালমার্টের একজন মুখপাত্র লরেনজো লোপেজ জানিয়েছেন, ওয়ালমার্টের প্রচলিত বেতন কাঠামোতেই নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন জনবল। ওয়ালমার্টের পক্ষ থেকে এর আউটলেটে নতুন কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির সদরদফতর থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
শুক্রবার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এর আগে মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি নতুন কর্মসংস্থান তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়ালমার্ট সাধারণত বছরের শুরুর দিকেই নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিয়ে থাকে। তবে এবারে তাদের এই ঘোষণা হয়তো নতুন প্রেসিডেন্টের সুনজরে পড়ার জন্যই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিটেইল মেট্রিকস এলএলসি’র প্রেসিডেন্ট কেন পারকিনস বলেন, সবাই করপোরেট ট্যাক্সে সুবিধা পাওয়ার ও নতুন প্রশাসনের সুনজরে থাকার জন্য নতুন প্রশাসনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে।
এর আগে জেনারেল মটোরস এবং অনলাইন রিটেইলার অ্যামাজন ডটকমও নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে টুইটারে জেনারেল মটরস ও ওয়ালমার্টকে নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চাকরি ফিরিয়ে আনা’র কৃতিত্বও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-
ট্রাম্পের হুমকির পর ৭০০০ কর্মসংস্থানের ঘোষণা জেনারেল মোটরসের
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা
/টিআর/এমএনএইচ/