ট্রাম্পবিরোধী রিপাবলিকানকে হিলারি ক্লিনটনের চিঠি

রিপাবলিকান জোয়ানে বারআজীবন রিপাবলিকান পার্টির সদস্য ৫৪ বছরের জোয়ানে বার। কখনও প্রচারের আলোয় আসতে চাননি। নীরব জীবন ছিল তার পছন্দ। দীর্ঘদিন ধরে নীরবেই সেন্ট্রাল পেনসিলভানিয়াতে তার জীবন কাটছিল। কখনও ভাবেননি এমন সময় আসবে যখন মানুষ তার জীবনের কথা জানবে। পরে আবার ভেবেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এরপর দুটোই ঘটল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন আর জোয়ানের কথাও জেনে গেলো মানুষ।

গত মাসে ওয়াশিংটনে নারীদের বিক্ষোভ ও মিছিলে যোগ দেন জোয়ানে। বিক্ষোভের সময় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে সঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। এরপর ফিরে যান উইলিয়ামস্পোর্ট-এ। গিয়েই দেখেন তার ডাকবক্স চিঠিতে ভর্তি। শুধু আমেরিকা নয়, চিঠি এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও।

প্রতিক্রিয়ায় জানান, এতো চিঠি! আর এমন মানুষের জন্য যে কখনও প্রচারে আসতে চায়নি। কিন্তু বুঝতে পারিনি অনেক অনেক ভালো ও ভদ্র মানুষ রয়েছে।

তখনও সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের দেখা পাননি। যা পেলেন গত মাসের একেবারে শেষের। আবার একদিন গিয়ে ডাক বাক্স খুলেন। তখনও তার নামে চিঠি আসছিল। একটি চিঠিতে নিউ ইয়র্কের ঠিকানা দেওয়া। ভেবেছিলেন অন্য সবার মতো কেউ হয়ত পাঠিয়েছে। অবচেতন মনে চিঠিটি খুলে দেখেন উপরে লেখা হয়েছে হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন।

চিঠিটি জোয়েনা ফ্রেম করে তার কর্মস্থলে রেখে দিয়েছেন। ফ্রেম করে রাখার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এমন জায়গায় রাখতে চেয়েছিলাম যাতে করে প্রতিদিন সকালে আমি তা দেখতে পাই। এটা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়। যা সঠিক মনে করি তার জন্য লড়াই করতে এটা আমাকে উৎসাহ দেয়।

এখন আর জোয়ানে নীরব থাকেন না। তিনি যোগ দিয়েছেন লিগ অব উইম্যানস ভোটার নামের সংগঠনে। জানালেন, গত নির্বাচন তাকে আমূল পাল্টে দিয়েছে।

হিলারি ক্লিনটনের চিঠি

চিঠিতে হিলারি লিখেছেন, আমি জানি যে নির্বাচনের ফলে আমরা মর্মাহত। কিন্তু নির্বাচনি প্রচারণা আপনার মতো অনেককেই নিজেদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার করেছে জেনে আমি আনন্দিত। ... কখনও ভুলে যাবেন না যে আপনি ক্ষমতাবান ও মূল্যবান এবং একজন মানুষই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।

সোমবার টুইটারে তার সমর্থকদের উৎসাহ দিতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন হিলারি। এছাড়া নির্বাচনে পরাজয়ের পর নিজেকে প্রচারের আড়ালেই রাখছেন হিলারি। সূত্র: হিলারি ক্লিনটন।

/এএ/