ডলারের মূল্য কমানোর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন ডলারের মূল্য কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন ডলারের মূল্যমান কমাতে চান। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে দেশটির প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের এক সভায় ট্রাম্প এ মনোভাব প্রকাশ করেন।

ক্যাটারপিলারের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডুগ ওবারহেলম্যানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হলে নিজেদের মুদ্রাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়ে যাবে অন্যরা। কিন্তু আমরা চাই, অন্য দেশগুলো মার্কিন ব্যবসায়ীদের জন্য সমান সুযোগ দেবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ডলারের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকতেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রীই (ট্রেজারি সেক্রেটারি) সাধারণত মুদ্রার মূল্যমান নিয়ে বক্তব্য রাখেন।আরও অনেক বিষয়ের মতোই এক্ষেত্রেও ট্রাম্প ব্যতিক্রমী আচরণ করলেন। আর তার এ মন্তব্য মার্কিন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীত। দেশটির নতুন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মানচিন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে একদিন আগে জানান, ‘ডলারের শক্তিশালীকরণ ভালো ব্যাপার’। কিন্তু একদিন পরই বিপরীতমুখী মন্তব্য করলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প ডলারের মূল্যমান কমানোর ইঙ্গিত দিলেও ক্যাটারপিলারের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করে, ডলার শক্তিশালী হলে তাদের বিদেশি রাজস্ব বাড়তে পারে।

ডলারের মূল্যমান কমানো হলে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, একটি শক্তিশালী ডলার ক্যাটারপিলারের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অমার্কিনি রাজস্ব নিজেদের দিকে টেনে আনতে পারে। গত মাসে বিক্রি কমিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়ার সময় কোম্পানিটি ডলারকে শক্তিশালী করার পক্ষে মত দিয়েছিল।

এছাড়া রফতানি প্রতিযোগিতামূলক করতে নিজেদের মুদ্রার মান কৃত্রিমভাবে কমানোর জন্য কয়েকটি দেশের নিন্দা করেছেন ট্রাম্প। নির্দিষ্টভাবে তিনি চীনকে আক্রমণ করেছেন। নিজের নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প বলেছিলেন, দায়িত্ব গ্রহণের দিনই চীনকে এক্ষেত্রে বাগে আনতে চান তিনি।

অবশ্য মানচিনি বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, চীনের বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে মূদ্রা নিয়ে কারসাজির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। সূত্র: সিএনবিসি।

/জেএইচ/এএ/