উ. কোরিয়ার মোকাবিলায় কূটনৈতিক পথে ট্রাম্প

 

Kim-Jong-Un-attack-Trump-US-world-war-740550যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করার পর এবার  কূটনৈতিক উপায়েও উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে দেশটি তার আঞ্চলিক অংশীদারদের সহায়তা নেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের নিয়ে বিশেষ ব্রিফিং শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কৌশলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

বুধবার  ‘যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির প্রত্যাহার চায়’ বলে এক যৌথ বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। এ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ড্যান কোটস।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লক্ষ্য অর্জনের জন্য আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে নিজেদের ও মিত্রদের রক্ষার জন্যও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প)  লক্ষ্য পারমাণবিক, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও বিস্তার কর্মসূচি বাদ দেওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করা। এ জন্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করাসহ আমাদের মিত্র ও আঞ্চলিক অংশীদারদের নিয়ে কূটনৈতিক উপায় অবলম্বন করা হবে।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসীদের মদদদাতা রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এর আগে উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন সিনেটের সব সদস্যকেই (১০০) বৈঠকে ডাকে হোয়াইট হাউস। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট দফতরের ক্যাপিটাল হিলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার পরস্পর উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন শুরু করেছে।  এছাড়া মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে কোরিয়া উপদ্বীপে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।

পিয়ংইয়ং কোরিয়া উপদ্বীপে যেকোনও সামরিক মহড়াকে আগ্রাসন বলে মনে করে। তারা এর প্রতিক্রিয়ায় হুমকি দিয়েছে, ‘মার্কিন আগ্রাসন রুখতে প্রয়োজনে রণতরী ডুবিয়ে দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা কিংবা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাতিসংঘ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া দেশটির জাতীয় দিবসে ৬ষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। পরীক্ষাটি ব্যর্থ হয়। তবে এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চতুর্থ পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। দেশটি বোমাটিকে ব্যাপক বিধ্বংসী হাইড্রোজেন বোমা বলে দাবি করেছে। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি দূরপাল্লার রকেট নিক্ষেপ করে দেশটি। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/এমএনএইচ/