উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীনের প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জিম ম্যাথিসউত্তর কোরিয়াকে থামানোর কাজে চীনে পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাথিস। শনিবার শাংরি-লা ডায়লগে তিনি এ প্রশংসা করেন। তবে একই সঙ্গে ম্যাথিস জানিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিকীকরণ মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

এশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা ফোরামের এই ডায়লগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পছন্দ করুন বা না করুন, আমরা বিশ্বের একটি অংশ। নিজেদের সীমান্তের ভেতরে আটকে ফেলি তাহলে কেমন টুকরো টুকরো বিশ্বে পরিণত হব আমরা।

জিম ম্যাথিস বলেন, সব বিকল্প পর্যালোচনার পর আমেরিকানরা সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে। তখন আমরা সেখানে থাকব এবং আমরা থাকব আপনাদের সঙ্গে নিয়ে।

ম্যাথিস আরও বলেন, বিশ্বকে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে চীনের কাজের অঙ্গীকারকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত আমরা মনে করি, চীন উত্তর কোরিয়াকে বোঝা হিসেবে দেখবে, সম্পদ হিসেবে নয়।

ম্যাথিস জানান, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীনের প্রশংসা করার অর্থ এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিকীকরণ করা মেনে নেবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে উত্তর কোরিয়া ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর ফলে দেশটির কাছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকার দাবি এর ফলে আরও জোরালো হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) ফেলো মাইকেল ইলেমান জানান, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রে যে ইঞ্জিন ব্যবহার করছে, তা মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা ইঞ্জিন থেকে ভিন্ন। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, চীন-আমেরিকার ঐকমত্যে উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।  'ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া'য় সেখানকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি শেষে এশিয়ার এই পরমাণু শক্তি-সম্পন্ন দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/