‘আমি আনুগত্য চাই’ কোমিকে বলেছিলেন ট্রাম্প

nonameবরখাস্ত হওয়া সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কাছে আনুগত্য চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বহুল প্রত্যাশিত মার্কিন কংগ্রেসের প্রকাশ্য শুনানিতে একথা জানাবেন কোমি। বুধবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

কোমির বিবৃতি অনুসারে, বরখাস্ত হওয়া সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে ট্রাম্প বলেছিলেন কিনা, এ নিয়েও সাক্ষ্য দেবেন সাবেক এই এফবিআই পরিচালক। তিনি শুনানিতে বলবেন, ট্রাম্প রাশিয়া তদন্তকে মেঘ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

একই সঙ্গে কোমি নিশ্চিত করবেন যে, এফবিআই-এর তদন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয় বলে যে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট করে আসছেন, তা ঠিক।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির শুনানিতে অংশ নেবেন কোমি। শুনানিতে ৯ মে তাকে বরখাস্ত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের বিস্তারিত জানাবেন তিনি।

কোমির এই বিবৃতির পর রাশিয়া সংযোগ তদন্তে ট্রাম্পের আইনজীবী মার্ক কাসোভিচ জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আনন্দিত যে কোমি নিশ্চিত করেছেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না।

কোমির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সংযোগের অভিযোগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পরে একটি বৈঠকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২৭ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে কোমির সঙ্গে নৈশভোজে এ প্রত্যাখ্যানের কথা জানান ট্রাম্প। কোমি নৈশভোজের আলোচনাকে বিব্রতকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ওই আলোচনায় ট্রাম্প কোমিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি চাকরিতে থাকতে চান নাকি চান না।

শুনানিতে কোমি বলবেন, ট্রাম্পের এমন কথায় তিনি আশ্চর্য হয়েছেন। কারণ এর আগে ট্রাম্প দুই বার তাকে পদত্যাগ না করার জন্য বলেছিলেন।

গ্রিনরুমের আলোচনার এক পর্যায়ে ট্রাম্প কোমিকে বলেন, আমার প্রয়োজন আনুগত্য, আমি চাই আনুগত্য।

উল্লেখ্য, বরখাস্ত হওয়ার আগে কোমি একটি মেমো লিখেছিলেন, যাতে দাবি করা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা  উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফেব্রুয়ারিতে রুশ কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে মাইকেল ফ্লিনকে পদত্যাগে বাধ্য করে ট্রাম্প প্রশাসন।  হোয়াইট হাউসের দাবি, কোমিকে তদন্তের বিষয়ে কোনও চাপ দেননি ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/ এমএনএইচ/