পিটসবার্গে ২০ মিনিটের ত্রাসে যা ঘটেছে

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ঘটেছে পিটসবার্গের একটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে। সেখানে ইহুদি ধর্মালম্বীরা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারী রবার্ট বাউয়ার্স। মাত্র ২০ মিনিটে এই ত্রাস সৃষ্টি করে বন্দুকধারী।

_104060646_a287f670-aa86-4f3f-862c-8dbfb8475142

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে ৪৬ বছরের বাউয়ার্স সিনোগগে প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও তিনটি হ্যান্ডগান।

স্টিফেন ওয়েইস নামের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ব্যক্তি জানান, লবিতে অন্তত কয়েক ডজন গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। বলেন,  যখন লবিতে গুলির শব্দ শুনতে পাই তখন আমরা চ্যাপেলে ব্যস্ত ছিলাম। আমি বুঝতে পারি এগুলো বন্দুকের গুলির শব্দ।

অন্যান্য শনিবারের মতো স্কুইরেল হিলে জড়ো হয়েছিলেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। বৃহত্তর পিটসবার্গে সবচেয়ে বেশি ইহুদি অধ্যুষিত এলাকা এটি।

বাউয়ার্স যে কক্ষে প্রবেশ করে সেখানে একটি নবজাতকের নামকরণ হচ্ছিল। ভেতরে ঢুকেই গুলির বৃষ্টিতে ১১ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্য সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক। তাণ্ডব চালিয়ে পালানোর সময় তাকে পড়তে হয় একটি আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী কর্মকর্তার সামনে। তিনি তখন অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানোর জন্য ফোন করছিলেন। এরপর তিনতলার একটি ভবনে নিজেকে আটকে রাখে। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রথম গুলির ২০ মিনিটের মাথায় বাউয়ার্স পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাত থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার অবস্থা বেশ ভালো।