সিরিয়ার মসজিদে আইএসের ঘাঁটি, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাহিনীর হামলা

‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো এক হামলায় ধ্বংস হয়েছে সিরিয়ার একটি মসজিদ। দেশটির দেরউজ জার প্রদেশের সাফাফিয়া শহরে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয়। তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, আইএসের হামলায় চার মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার একদিনের মাথায় পাল্টা এ হামলা চালানো হলো।প্রতীকী ছবি

সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংস হওয়া মসজিদটি ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি ছিল। জঙ্গি সংগঠনটি যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করে হাসপাতাল ও প্রার্থনালয়ের মতো স্থানকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এ কারণেই এমন স্থাপনায় হামলা না চালানোর নীতি থেকে সরে আসতে হয়েছে তাদের।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, আইএসের ঘাঁটিতে সফল হামলার কারণে রক্ষা পেয়েছে সিরিয়াতে থাকা মার্কিন সেনাবাহিনীর সহযোগীরা। তবে এই হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী অনেকগুলো মসজিদকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক।
আনাদোলু এজেন্সি লিখেছে, সিরিয়ার মানবিজে আত্মঘাতী হামলায় চারজন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুইজন সেনা সদস্য। হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস। ওই ঘটনার একদিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার পাল্টা হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাজিন শহরে অবস্থিত একটি মসজিদেও একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। সেক্ষেত্রেও মসজিদটি ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল। মসজিদটিতে ছিল ১৬ জন জঙ্গি। ইউফ্রেটিস নদীর পাড়ে ইসলামিক স্টেটের দখলে থাকা সবচেয়ে বড় শহর ছিল হাজিন।

সিরিয়াতে এককালে দখলে থাকা বেশিরভাগ এলাকাই হারাতে হয়েছে ইসলামিক স্টেটকে। মার্কিন বাহিনী ও তাদের সহযোগী কুর্দি বাহিনী এবং সিরিয়ার আসাদ বাহিনীর হামলার মুখে তারা এখন কোণঠাসা।