ইরাকে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলার পর সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইনফ্যানট্রি ব্যাটলিয়নের ৭৫০ জন সেনাকে অবিলম্বে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

_110352593_751c99a5-8c18-4fb2-8a32-6c383da14b06

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের এই অতিরিক্ত সেনাদের আগামী কয়েকদিনের ভেতরে মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী ও স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই সেনা মোতায়েন যথাযথ।

এর আগে মঙ্গলবার বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস কম্পাউন্ডে অগ্নিসংযোগ করে একদল বিক্ষোভকারী। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়। আগুন ধরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও দূতাবাসের দেয়ালে। হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হামলার পর মার্কিন কর্মকর্তারা প্রয়োজনে দূতাবাস খালি করার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানিয়েছেন এক সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র পরে এবিসি নিউজকে বলেছেন, বাগদাদে সব মার্কিন কর্মী সুরক্ষিত আছেন এবং খালি করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা দূতাবাসেই অবস্থান করবে। তিনি আরও বলেছেন, ইরাকের নেতারা দেশটিতে বসবাসরত মার্কিন নাগরিক ও সম্পদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল-মাহদি ও প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনে কথা বলেছেন। ওয়াশিংটনে নিজের কার্যালয় থেকে ইরাকি নেতাদের ফোন করেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগান ওর্টাগাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। যেসব মার্কিন নাগরিক সার্বভৌম ও স্বাধীন ইরাককে সমর্থন দিতে রয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়েছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নেবে।