শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যেও কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ

পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বেশ কিছু শহরে কারফিউ উপেক্ষা করেই মানুষ বিক্ষোভে জড়ো হয়েছেন। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছে প্রশাসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার এই বিক্ষোভ শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে।

4372
ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন ও কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এখানে সড়কে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করেন প্রতিবাদকারীরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র সরাসরি প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, নিউ ইয়র্ক সিটিতে পুলিশ বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরানোর চেষ্টা করছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে উত্তেজনাকর মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যে পোর্টল্যান্ডের মাইন শহরে প্রায় ৩০০ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এখানে সব বর্ণের বিক্ষোভকারী অংশ নেন। একটি সড়ক অবরোধ ও পুলিশের সদর দফতরে ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে।
ফিলাডেলফিয়াতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে পুলিশের গাড়িতে। শহরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন ইটের আঘাতে।

4718
সান ডিয়েগোতেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। রবিবার দিনের শুরুতেই শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের শেষ দিকে এক দল প্রতিবাদকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল ছুড়ে মেরেছে।
মিশিগানের ডেট্রয়েটের রাত ৮টায় কারফিউ শুরু হওয়ার মাত্র ৪৫ মিনিট আগে পুলিশ সদর দফতরের সামনে জড়ো হওয়া প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের সিয়াটলে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃঅঙ্গরাজ্য মহাসড়ক বিক্ষোভের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের কাছে সবচেয়ে বেশি বর্ণবাদী হিসেবে পরিচিত ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনেও একদল বিক্ষোভকারী রবিবার রাতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করেছে। তবে সন্ধ্যায় কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। ফ্লয়েডের গাড়িতে জাল নোট থাকার খবর পেয়ে তাকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড।