করোনাভাইরাস নিয়ে গুরুতর সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্র: ড. ফাউচি

মার্কিন সংক্রামক রোগবিষয়ক প্রধান ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, ১৬টি অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর সমস্যায় রয়েছে। প্রায় দুই মাস পর হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

18c7fa990b1b459c828c095873c272b1_18

বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষের। জুন মাসের শুরুর দিকে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা বিধিনিষেধ কিছু শিথিল করা হয়। তবে সম্প্রতি আবারও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার ৪০ হাজারের নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণের গতি কমানো উচিত বলে জানালেও দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দেশটিতে ভাইরাস মোকাবিলায় অগ্রগতির ‘প্রশংসা’ করেছেন।

টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক ড. ডেবোরাহ বার্ক্স পরীক্ষার সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য আমেরিকার তরুণদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর আগে আমরা তাদের ঘরে থাকতে বলেছিলাম, এখন তাদের বলছি পরীক্ষা করার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপসর্গ না থাকলেও তরুণ প্রজন্মকে পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

ড. ফাউচি বলেন, এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা করতে হবে। আপনারা দেখছেন নির্দিষ্ট এলাকায় আমরা গুরুতর সমস্যা মোকাবিলা করছি। দেশের একটি এলাকার পরিস্থিতির অবনতি হলে তা অপর অঞ্চলগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে।

মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, মানুষ একজন আরেকজনকে আক্রান্ত করছেন। শেষ পর্যন্ত এমন কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন যিনি ঝুঁকিপূর্ণ। আপনাদের নিজের প্রতি নিজের দায়িত্ব রয়েছে, কিন্তু আপনাদের সামাজিক দায়িত্বও রয়েছে । কারণ যদি  মহামারি ভালোভাবে ঠেকাতে হয়, সত্যিকার অর্থেই তা করতে হয় তাহলে আমাদের অনুধাবন করতে হবে, আমরা সবাই এই প্রক্রিয়ার অংশ।

সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে যেসব এলাকায় পরিস্থিতি ভালো সেগুলোও আক্রান্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।