‘ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র’

ইরাকে সোমবার মার্কিন বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

ইরাকি কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনায় তদন্তের আহ্বান জানিয়ে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন ব্লিনকেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরাকি কুর্দিস্তান অঞ্চলে আজকের রকেট হামলায় ওয়াশিংটন ক্ষুব্ধ। এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা, দায়ীদের ব্যপারে তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার যাবতীয় প্রচেষ্টায় কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানির যাবতীয় প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেবে। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোমবারের ঘটনায় অন্তত তিনটি রকেট ইরবিলের বেসামরিক বিমানবন্দরের কাছে আছড়ে পড়ে। এখানেই জোট বাহিনীর ঘাঁটি। আইএসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তারা এখানে অবস্থান করছে। হামলার পরই নিরাপত্তার জন্য ইরবিল বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ইরাকে নিয়োজিত মার্কিন জোট বাহিনীর মুখপাত্র জানান, সোমবার কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে একের পর এক রকেট আছড়ে পড়েছে। এতে একজন বিদেশি ঠিকাদার নিহত হয়েছেন।

নিহত ঠিকাদার কোন দেশের নাগরিক তা জানানো হয়নি। যে পাঁচজন আহত হয়েছেন, তারা সবাই মার্কিন নাগরিক। চারজন কন্ট্রাক্টর ও একজন সেনা।

ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রকেট হামলা শুরু হয়। এগুলো নিক্ষেপ করা হয় দক্ষিণের কিরকুক এলাকা থেকে। কয়েকটি রকেট শহরতলির বসতি এলাকায় পড়ে। এতে কয়েকটি গাড়ি ও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইরাকের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটি জঘন্য সন্ত্রাসবাদী কাজ। কুর্দিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বারজানি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

গত কয়েক মাসের মধ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর উপর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। সারায়া আউলিয়া আল-দাম নামে একটি গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেছে। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে এই আক্রমণ বলে দাবি করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সারায়া আউলিয়া আল-দামের মতো গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিচ্ছে ইরান। সূত্র: রয়টার্স, ডিডব্লিউ।