‘সবচেয়ে সেরা দিন’, মহাকাশ ঘুরে জেফ বেজোস

বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোস মহাকাশে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এটি তার মালিকানাধীন ব্লু অরিজিন কোম্পানির বিশেষ রকেট নিউ শেফার্ড-এর মানুষ নিয়ে প্রথম ফ্লাইট। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডের যাত্রার পর ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসার পর জেফ দিনটিকে সবচেয়ে সেরা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী বেজোসের এই স্বপ্নের মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায়। তার সফরসঙ্গী ছিলেন ভাই মার্ক বেজোস, ১৮ বছর বয়সী অলিভার ডিমেন, ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাঙ্ক। এর মধ্যে ফাঙ্ক সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশে গেলেন আর সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে অলিভার ডিমেন।

ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ মাইলের গতিবেগে মহাকাশের উদ্দেশে পৃথিবী থেকে রওনা হয় বহনকারী রকেট। টেক্সাসের ভ্যান হর্ন থেকে ছেড়ে গেছে নিউ শেফার্ড।

যাত্রা শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বেজোস বলেছিলেন,  আমি খুবই উত্তেজিত। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমি নার্ভাস নাকি? একদমই নার্ভাস নয়, বরং আমি কৌতূহলী। আমরা জানি, আমরা শিখতে যাচ্ছি’।এদিকে ওয়ালি ফাঙ্ক বলেন, সেখানে কী হতে চলছে তার অপেক্ষায় আছি।

লঞ্চপ্যাড থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর পৃথিবী থেকে আড়াই লাখ ফিট ওপরে উঠে রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায় ক্যাপসুলটি। এটি সাড়ে ৩ লাখ ফিট ওপরে উঠে। ৪ মিনিটের জন্য ভরশূন্য অনুভব করেন যাত্রীরা। সর্বোচ্চ উচ্চতায় ওঠার পর ক্যাপসুলটি প্যারাসুট খুলে দেয়। এই প্যারাসুটের মাধ্যমে পৃথিবীতে নেমে আসে ক্যাপসুলটি।

বেজোসের মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণে  ব্লু অরিজিন গঠিত হয় ২০০০ সালে। বেজোসের কোম্পানি ১৫ বার মহাকাশে গেলেও মঙ্গলবারের আগে কখনও মানুষ নিয়ে যায়নি। ব্লু অরিজিনের জন্য রকেট আকারের ৬০ ফুট লম্বা মহাকাশযান নিউ শেফার্ড তৈরি করছে মার্কিন দুই প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও বোয়িং।