হাজার অক্ষরের নাম তার, জন্ম সনদ কত বড়?

সকলের পড়তে কষ্ট হবে চিন্তা করে অনেকেই অফিসিয়াল ডকুমেন্ট এবং সার্টিফিকেটে নিজেদের পূর্ণ নাম ব্যবহার করেন না। আবার অনেকেই আছেন যারা তাদের নামের মধ্যে প্রিয় বস্তু, জায়গা, খাবার, মুভি, রং, মানুষ কিংবা ঘটনার বিবরণ রেখে দিতে চান।

১৯৮৪ সালে সান্দ্রা উইলিয়ামস যখন মা হলেন, তখন তিনি জানতেন মেয়ের জন্য ক্লাসিক তিন বা চার অক্ষরের নাম রাখবেন না তিনি। ছোট কিন্তু অস্বাভাবিক নাম রাখার পরিবর্তে তিনি মেয়ের জন্ম সনদে তিন শব্দের যে নাম লেখেন তাতে অক্ষর ছিল মোট ৫৭টি।

১৯৮৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের মেয়ে। জন্মের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে মেয়েকে দীর্ঘ নাম দেওয়ার পরও সান্দ্রা এবং তার স্বামী নাম সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধিত নামে রয়েছে মোট ১ হাজার ১৯ অক্ষর। নামের মাঝখানে রয়েছে ৩৬টি শব্দ।

তবে বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে ডাকেন জেমি নামে। তার জন্ম সনদের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় দুই ফুট। ওই নামটি ভেঙে দিয়েছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে দেয়।

১৯৯৭ সালে সান্দ্রা উইলিয়ামস কথা বলেন সেলিব্রেটি হোস্ট অপরাহর সঙ্গে। ওই সময় জেমির বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। সান্দ্রা অপরাহকে বলেন, ‘গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভাঙতে আমাকে কিছু করতে হতো। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে তার নামটি যেন অনন্য হয়। আমি চাইনি তার নাম অন্য কারো মতো হোক। তার নাম আলাদা হতে হতো আর আমাকে গিনেজ বুকে নাম লেখাতে হতো।’

রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য আইন পরিবর্তন করে। সংশোধিত আইনে বলা হয় শিশুদের নাম এমনভাবে রাখতে হবে যেন সেই নামটি বার্থ সার্টিফিকেটের নামের বক্সে আটকে যায়।

সূত্র: টাইমস নাউ নিউজ