ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি বৈঠক

ইউক্রেনে যেকোনও মুহূর্তে মস্কো আগ্রাসন চালাতে পারে- এমন আশঙ্কায় জেনেভায় বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাবরভ এই আলোচনায় বসেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ব্লিনকেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার কোনও বাহিনী ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করলে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ইউক্রেনে হামলা কিংবা আগ্রাসনের পরিকল্পনা থাকার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো। তবে সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এক লাখ সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। পশ্চিমা সরকারগুলোর কাছে বেশ কয়েকটি দাবি তুলেছে রাশিয়া। এরমধ্যে রয়েছে ইউক্রেন কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দিতে পারবে না এবং এই সামরিক জোটটির কার্যক্রম পোল্যান্ডসহ সদস্য দেশগুলোতে সীমিত করতে হবে। পশ্চিম এবং রাশিয়ার আলোচনা গত সপ্তাহে কোনও অগ্রগতি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

জেনেভায় ব্লিনকেন-ল্যাবরভের বৈঠক শুরুর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মস্কোকে উত্তেজনা নিরসনের কূটনৈতিক উপায় জোরালো করার তাগিদ দেবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, পশ্চিমের ‘পরীক্ষা’ নিতে গেলে রুশ নেতাকে ‘মারাত্মক মূল্য’ দিতে হবে। তিনি তিনি এও ইঙ্গিত দেন যে, এই প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে রাশিয়া কিভাবে আগাচ্ছে তার ওপর।

বাইডেনের ওই মন্তব্যের পর রুশ আগ্রাসনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। পরে মার্কিন কর্মকর্তারা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করে। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই স্পষ্ট।’ তিনি বলেন ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাব যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা দ্রুত, তীব্রতার সঙ্গে এবং সম্মিলিতভাবে দেবে’।

সূত্র: বিবিসি