ভাইস প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, শুনলো প্যানেল

অন্যায় হবে বারবার বলার পরও ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে হুমকি দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কংগ্রেসনাল কমিটিকে একথা জানিয়েছেন পেন্সের সহযোগিরা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল দাঙ্গার ঘটনা তদন্ত করছে এই কমিটি। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে তাদেরকে ট্রাম্পের আচরণের কথা জানানো হয়।

ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর সিলেক্ট কমিটি বলেছে, সমর্থকদের একটি সহিংস অংশ ক্যাপিটলকে হুমকি দিচ্ছে জানার পরও ট্রাম্প তার চাপের প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। মাইক পেন্স ও আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করতে সেদিন ক্যাপিটলে সমবেত হয়েছিলেন।

নয় সদস্যের কমিটি এই মাসে অন্তত ছয়টি শুনানির মধ্যে প্রথম তিনটি ব্যবহার করেছে। এসব শুনানির পর ট্রাম্পের পরাজয় উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টা স্বাভাবিক রাজনীতির বাইরে অবৈধ আচরণ কিনা তা নির্ধারণ করবে এই কমিটি।

ট্রাম্প বারবার বলে ভুল করার কথা অস্বীকার করে আসছেন। এছাড়া মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন যে তিনি নির্বাচনে হেরেছেন কারণ ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। ট্রাম্প এবং তার সমর্থকেরা ৬ জানুয়ারির তদন্ত প্যানেলকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযুক্ত করে আসছেন।

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মাইক পেন্সের চিফ অব স্টাফ মার্ক সর্ট সাক্ষ্য দেন। ভিডিওতে ধারণ করা সাক্ষ্যে তিনি বলেন পেন্স ট্রাম্পকে ‘বহুবার’ বলেছেন কংগ্রেসে ভোট অনুমোদন ঠেকানোর কর্তৃত্ব তার নেই। তারপরেও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তাকে সেটাই চাইছিলেন।

পেন্সের একজন অ্যাটর্নি গ্রেগরি জ্যাকব বলেছেন, এই তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা, অ্যাটর্নি জন ইস্টম্যান। ক্যাপিটলে হামলার দুই দিন আগে প্রেসিডেন্টের সামনে ইস্টম্যান স্বীকার করেন পেন্স আইন লঙ্ঘন না করেও প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে পারবেন। ইস্টম্যানের যুক্তি ছিল পেন্স নির্দিষ্ট অঙ্গরাজ্যের ফলাফলগুলো অবৈধ মনে করলে তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন, এতে  সেই অঙ্গরাজ্যের প্রকৃত ভোট গণনা সত্ত্বেও ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করার সুযোগ পাওয়া যাবে।

পেন্সের উপদেষ্টারা কমিটিকে জানান, এই ধারণার কোনও আইনি ভিত্তি নেই।

সূত্র: রয়টার্স