গর্ভপাত বাতিলের রায় ‘ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত’: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ গর্ভপাতের অধিকারের ৫০ বছরের পুরনো একটি আইন বাতিল করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই আইন বাতিল হওয়াকে ‘ঈশ্বরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ৪৫তম সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সংবিধান মেনেই এটা হচ্ছে। অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা তাদের আরও অনেক আগেই ফিরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।’
 
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক লাখ নারী বৈধ গর্ভপাতের অধিকার হারাতে যাচ্ছেন। শুক্রবার (২৪ জুন) ৫০ বছর পুরনো ঐতিহাসিক এক রায় খারিজ করার পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ‘রয় বনাম ওয়েড’ মামলার রায়ের ফলে দেশটিতে গর্ভপাত বৈধতা পেয়েছিল। 

এই গর্ভপাতের অধিকারে আমূল পরিবর্তন আসবে। এখন থেকে অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেরা গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চালু করতে পারবে। দেশটির অন্তত অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত ইস্যুতে নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালীন আদালতে তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই ফলাফলে তিনি ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’। এর কিছুক্ষণ পরই এ আদেশের জন্য কৃতিত্ব দাবি করেন তিনি।

বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত একটি প্রজন্মের জীবনে বড় অর্জন।  কেবল সম্ভব হয়েছে অঙ্গীকার অনুযায়ী আমি সবকিছু বাস্তবায়ন করেছিলাম বলে। এর মধ্যে রয়েছে তিনজন সম্মানিত এবং শক্তিশালী সংবিধান বিশেষজ্ঞকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনয়ন ও নিয়োগ নিশ্চিত করা। এ কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের।’ 

১৯৭৩ সালের রয় বনাম ওয়েড মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও নারীর গর্ভপাতের অধিকার মার্কিন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। এই রায়ের ফলে মার্কিন নারীরা গর্ভধারনের প্রথম তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাতের অধিকার পেয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ট্রিমেস্টারে বিধিনিষেধ ও তৃতীয় ট্রিমেস্টারে এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।

সূত্র: এএফপি