টুইটারে গণহারে ছাঁটাই শুরু, বন্ধ কার্যালয়

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে শুক্রবার সংস্থাটিতে কর্মরতদের অবহিত করার কথা ছিল। তবে শুক্রবারই অনেক কর্মী অভিযোগ করেছেন, তারা নিজের অফিশিয়াল ইমেইলে প্রবেশ করতে পারছেন না। আর ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে সবগুলো কার্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে টুইটার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে চুয়াল্লিশ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে কোম্পানিটি কিনে নেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইতোমধ্যে তার টুইটারের প্রধান নির্বাহী হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া টুইটার বোর্ডের ৯ সদস্য প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে গেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর এবং প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়াল। প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগালসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরাও টুইটার ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পোস্ট করেছেন, বা এরইমধ্যে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

কোম্পানিটি তাদের এক অভ্যন্তরীণ ইমেইলে বলেছে যে ‘টুইটারের ভালোর জন্য’ কর্মী ছাঁটাই করা হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার আমরা বিশ্বব্যাপী আমাদের কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব। আমরা বুঝতে পারছি যে টুইটারের পেছনে যারা মূল্যবান অবদান রেখেছেন, তাদের অনেকের ওপর এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু কোম্পানিটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে এমন দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপটি নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কর্মীরা যতক্ষণ না জানতে পারছে যে চাকরি হারিয়েছে কি-না, ততক্ষণ অফিস ভবনে ঢুকতে পারবে না।

ইমেইলে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক কর্মীদের নিরাপত্তা ও টুইটার সিস্টেম এবং গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অফিস প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে সীমিত করা হবে। অফিসের সব কর্মী 'টুইটারে আপনার দায়িত্ব বিষয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল ৯টার মধ্যে একটি ইমেইল পাবেন।

শুক্রবার অনেক কর্মী অভিযোগ করেছেন, তারা নিজেদের কোম্পানির ই-মেইলে ঢুকতে পারছেন না। এতে ধারণা করা হচ্ছে, গণহারে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গেছে। তাদের অনেকে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, উপযুক্তভাবে নোটিশ না দিয়ে এভাবে ছাঁটাই করা আইনের লঙ্ঘন।

টুইটার বলছে, যাদের চাকরিতে এটির প্রভাব পড়বে না, তাদেরকে অফিসিয়াল ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। আর যাদের চাকরি চলে যাবে, তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ সম্পর্কে জানানো হবে।

এর আগে ধারণা করা হয়েছিল যে টুইটারের আট হাজার জনবলের প্রায় অর্ধেকই ছাঁটাই হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এই প্লাটফর্মটি মুনাফা আয় করতে এখনও হিমশিম খাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বেতন-ভাতা কমানো একটি সমাধান বলে মনে করছে কোম্পানিটি।