যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় নিহত ৩

চলতি বছর ২৮ হাজার প্রাণহানি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলের একটি স্টোরে একজন শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী ৩ কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে। এরপর নিজের অস্ত্রের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা বলছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই বন্দুকধারী বর্ণবাদী ছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী বন্দুকধারী ভারী বন্দুক নিয়ে ডলার জেনারেল স্টোরে প্রবেশ করে। এরপরই এলোপাতাড়ি গুলি চালানো শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে তার গোলাগুলি শুরু হয়। 

জ্যাকসনভিলের শেরিফের টি কে ওয়াটরর্স বলেন, ‘হামলাকারী দুইজন পুরুষ ও একজন নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। বর্ণবিদ্বেষ থেকে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। সে কৃষ্ণাঙ্গদের ঘৃণা করতো।’

মেয়র ডোনা ডিয়েগান এ ঘটনাকে বর্ণবিদ্বেষ ও ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বন্দুকধারী যুবকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘট্নাটি নিজ থেকেই ঘটিয়েছে সে। তারপরও গোলাগুলি ও নিহতের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই।

এদিকে বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

বন্দুক সহিংসতা সংরক্ষণাগার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় ২৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দিন দিন এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে দেশটিতে। অস্ত্র আইন আরও কঠোরের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে দেশটির সাধারণ মানুষ। এর পক্ষে আছেন জো বাইডেনও। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে আছে অস্ত্র আইন কঠোর করার বিষয়টি।