কিশোরীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারাপ্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া কিশোর-কিশোরী বা তরুণ-তরুণীদের  অধিকার। এই বয়সে স্বাস্থ্যসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও সচেতনতার অভাব, গোপনীয়তার প্রবণতা ইত্যাদি কারণে তারা পর্যাপ্ত সেবা পায় না।

‘আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে 'আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি' এই সংবাদ সম্মেলন করে।

আগামীকাল শনিবার (১৫ অক্টোবর) দেশের ৬৪টি জেলায় দিবসটি পালিত হবে। ‘কিশোরীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার, আমাদের অঙ্গিকার’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন তরুণ-তরুণীদের এ ব্যাপারে এতো বেশি জানানোর দরকার নেই। এ ছাড়া অনেক সময় তরুণ-তরুণীদের এসব বিষয়ে জানার আগ্রহকে অনৈতিক ভাবা হয়। এ ধরনের সংস্কৃতি তাদের তথ্য জানার উৎসগুলো হতে দূরে রাখে এবং এ ব্যাপারে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’

কমিটির সদস্য আসিফ ইকবাল বলেন, ‘কিশোরীদের জন্য বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে সামগ্রিক যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে তারা অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ও যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষা দিতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার। অভিভাবকসুলভ আচরণ নয়, তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। বিদ্যালয়গুলোও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।

/জেএ/এআরএল/