‘চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর পার্থক্য নির্ণয় জরুরি’

একই মশা দ্বারা চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর ছড়ালেও ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়। চিকুনগুনিয়া হলে সমস্যা নেই, ডেঙ্গু হলে আছে তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর পার্থক্য নির্ণয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে, বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) আয়োজিত সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় সংশ্লিষ্টরা এসব কথা জানান।
সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় সংশ্লিষ্টরাসভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।
ডেঙ্গু হলে মাংসপেশীতে আর চিকুনগুনিয়া হলে জয়েন্টে (গিঁট) ব্যথা হবে জানিয়ে সভায় উপস্থিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম বলেন, ‘চিকুনগুনিয়াতে হাত ও পায়ের মাথায় এবং মুখমণ্ডলে র‌্যাশ হয় কিন্তু ডেঙ্গু হলে পুরো শরীরে র‌্যাশ হয়। অপরদিকে, ডেঙ্গু রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দেয় যেটি চিকুনগুনিয়াতে হয় না।’

চিকনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘চিকুনগুনিয়াতে মৃত্যুর রেকর্ড নেই, তবে ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ে বাড়ির সদস্যদেরই সচেতন হতে হবে। চিকুনগুনিয়া নিজেই সেরে যায়, তাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আবশ্যক নয়। যদিও চিকুনগুনিয়াতে ব্যথা হয় দীর্ঘস্থায়ী।’

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে গত এপ্রিল এবং মে মাসে ১৩৯টি চিকুনগুনিয়ার স্যাম্পল গিয়েছে এবং তার মধ্যে ৮৬টি পজিটিভ। ঘরের কোথায় যেন পানি না জমে সেদিকে নজর দিতে হবে, তাহলেই আমরা এসব রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবো।’

/জেএ/এমও/