দেশে সড়কভেদে মোটরযানের গতিসীমা নতুন করে নির্ধারণ করে দিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে খসড়া পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে এই বিষয়ে সভা হয়েছে। খুব শিগগিরই এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
নতুন নীতি অনুযায়ী দেশের সব জাতীয় মহাসড়কের যানবাহনের গতিসীমা সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হচ্ছে। আর শহরের এলাকায় সড়কের গতিসীমা সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার হবে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নতুন গতিবেগ নির্ধারণের বিষয়ে একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৪৪-এর উপধারা-১ অনুযায়ী সড়কের প্রকারভেদে মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হলেও স্থানভেদে সড়কের এই গতি কমানো হবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান বলেন, সড়কের পাশে যেখানে জনবসতি এবং জনসাধারণের চলাচল রয়েছে সেখানে এই গতি কমানো হবে। এছাড়া যেসব সড়কের পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার-ঘাট এবং অফিস-আদালত রয়েছে, সেখানে যানবাহনগুলোকে কত কম গতিতে চলবে; তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
কোন সড়কে চলাচল করা গাড়ির কত গতি থাকবে তার নির্দেশিকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও বাংলাদেশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর নিজ নিজ নির্মাণ করা সড়কে বসানোর দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
এর আগে ২০১৫ সালে দেশের মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছিল জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল। ওই বছর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সভায় অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল ঠেকাতে গাড়িতে ‘স্পিড গভর্নর’ নামের একটি যন্ত্রও বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।