প্রেসক্লাবের সামনে ফের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের

চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার সকাল আটটায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা ফের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেবেন। দাবি আদায় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সুমন মাদবর বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীরা (ফাইল ছবি)তিনি বলেন, ‘আমরা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান করছি। আমাদের প্রায় ২০০ সহকর্মী অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমাদের এখন খুবই খারাপ অবস্থা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রধান কার্যালয়ের পরিচালকের অফিস অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। আগামীকাল ফের আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেব।’

প্রসঙ্গত, চাকরি রাজস্বকরণের এক দফা দাবিতে গত ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে বসেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলে তারা মহাখালীর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

এরই মধ্যে আমরণ অনশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ায় আট জনকে সাময়িক বহিস্কার করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া গত ২০ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে চার সদস্যের টিমও গঠন করা হয়। যার ফলে চলমান অনশন কর্মসূচি অনেকটা ক্ষোভে রূপ নেয়।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সুমন মাদবর বলেন, ‘মাত্র দু’দিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে আইন চূড়ান্তকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন। এটা হলে আমাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন তা ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন আমরা জেলা সিভিল সার্জনের অধীনে কাজ করি, তখন সেটা আর থাকবে না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাদের নেতাদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত কথা বলছি। আমি নিজে গত ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গেছি। তারা এতদিন ধরে শুধু শুধু আন্দোলন করছে। সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। আজও আমরা বসেছি। তাদের চাকরি সুরক্ষার জন্য অনেক কিছু যুক্ত করেছি। আমাদের কমিটিতে তাদেরও রাখতে পারি। ৩১ জানুয়ারি যা বলেছি, তা এখনও বলছি। আমাদের কথার কোনও পরিবর্তন হবে না। একটা গ্রুপ তাদের ভুল বোঝাচ্ছে।’