কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি সরকারের রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি পূরণে অবস্থান কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএইচসিপিএ)। শনিবার সকাল থেকে বিসিএইচসিপিএ’র দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিনিজেদের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে কোনও ফল না হওয়ায় গতকাল (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। তাদের একমাত্র দাবি চাকরি রাজস্বকরণ, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

কর্মসূচির প্রধান উপদেষ্টা মো. কামাল হোসাইন সরকার বলেন, ‘আমরা গত ৬ বছরে ৬৫ কোটিরও বেশি বার কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত সেবা গ্রহীতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত করেছি। আমাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছে। অথচ এরপরেও আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন এক গভীর হতাশার মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। তাই আমরা চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার দাবি জানাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে গত ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি থেকে স্ব স্ব উপজেলার কমপ্লেক্সে বিসিএইচসিপিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরি রাজস্বখাতে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করে। কিন্তু তার কোনও জবাব না পেয়ে গত ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি অবস্থান ধর্মঘট পালন করে প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় স্মারক দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে দু’বার স্মারকলিপি দিয়েও তার উত্তর না পাওয়ায় গত ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানেই শুরু করেন অনশন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলে তারা মহাখালীর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। 

আরও পড়ুন: রাজস্বকরণের দাবিতে ফের প্রেস ক্লাবের সামনে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা