স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব অ্যাম্বুলেন্স প্রসূতি মায়েদের জন্য দেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনেই যেন এগুলো ব্যবহার হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘একটা সময় ছিল, ফতোয়াবাজরা জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধা দিতো। এখন সবাই বোঝে, ছোট পরিবার সুখী পরিবার। তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ মানে এই নয়, যে জনসংখ্যা অতি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আবার দেশে বৃদ্ধ লোক বাড়বে কিন্তু কাজের লোক থাকবে না।’তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমরা অনেক এগিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এটি প্রচার করা হচ্ছে। ১৯৭২ সালে যেখানে আমাদের প্রয়োজনের ৯৮ ভাগ ওষুধ আমদানি করতে হতো, বর্তমানে ১০০’র বেশি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। তারপরও আমাদের ব্যর্থতা আছে, সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা ডাক্তারদের গ্রামে রাখতে পারিনি। অথচ গ্রামে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।’
এ সময় জানানো হয়, দেশের ২৯’শ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে। তবে অ্যানেথেসিস্টের অভাবে ৮টি কেন্দ্রে প্রসব সেবা বন্ধ রয়েছে। একটা সময় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে জনসাধারণ পিল ও কনডম সংগ্রহ করলেও বর্তমানে ৬০ ভাগ মানুষ দোকান থেকে কিনেই এগুলো ব্যবহার করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৫টি অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি ৫ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন। যেসব জেলায় অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পটুয়াখালী, চাঁদপুর ও কুমিল্লা।