ওষুধ ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

ওষুধ (ছবি: সংগৃহীত)আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ওষুধপত্র এবং প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে অনেক জটিল কার্যকরী চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  একারণে ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তারা এই মত দেন। একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি বাংলাদেশ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ এর উপ-উপাচার্য,  চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি বাংলাদেশের সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শুধু চামড়ায় চুলকানি, ছোট ছোট দানাদার ফুসকুরি পরা, লাল হয়ে যাওয়া বা দাগ পড়া নয়, সমস্ত শরীরের চামড়া উপরিভাগ থেকে একেবারে খসে পড়া থেকে আরম্ভ করে অনেক জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশিষ্ট নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তাঁর বক্তব্যে ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি বলে মত দেন।

অনুষ্ঠানে পেম্ফিগাস ভালগারিস রোগের ব্যবস্থাপনার জটিলতা নিয়ে প্রথমে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চর্ম রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান। পরবর্তীতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার ডা. মোঃ আব্দুল লতিফ খান। সর্বশেষ বক্তা ছিলেন উপমহাদেশের স্বনামধন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্স দিল্লী থেকে আগত অধ্যাপক ডা. এম রামাম। ত্বকের উপর ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। 

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি, ঢাকা-৭ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএমএমইউ এর  চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া।