১৩ হাসপাতালে রেমডেসিভির সরবরাহ করেছে এসকেএফ

1করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির বাজারজাত করার অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ইতোমধ্যেই ১৩ হাসপাতালে এটি সরবরাহ করেছে এসকেএফ। রবিবার (২৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটির জেনেরিক নাম রেমডেসিভির, এসকেএফের উৎপাদিত ওষুধের নাম রেমিভির। আজ রবিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এসকেএফকে অনুমোদন দেয়। অনুমতি পাওয়ার পর এসকেএফ দেশের ১৩টি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করেছে।
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করে এসকেএফ। মের প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে তারা। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ প্রশাসন আজ এটি বাজারজাতের অনুমতি দেয়।
এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে চায় এসকেএফ। এর চিকিৎসা যেন সহজলভ্য হয়, সে জন্য এসকেএফ কাজ করছে। রেমডেসিভির জাতীয় ওষুধ রেমিভির তৈরির পেছনেও সেই একই লক্ষ্যে কাজ করেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), জাপান সরকার এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’ বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডেসিভির। গিলিয়েডের নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।