করোনায় মৃতদের ৪৩ শতাংশ অন্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন

করোনাভাইরাস (গ্রাফিক্স: মারুফ রেহান)গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জন অর্থাৎ ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশই আগে থেকে অন্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার ( ২৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপ, চারজন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে তিনজন, হাইপোথাইরয়েড এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন একজন, উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাজমাতে আক্রান্ত ছিলেন একজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগে একজন এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন একজন।
বিজ্ঞপ্তিতে নিয়মিত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, যারা আগে থেকে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত তারাসহ বয়োজ্যেষ্ঠরা করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। তার বয়স ছিল ৭০-এর বেশি। তিনি বিদেশফেরত ছিলেন না, তবে বিদেশ থেকে আসা এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিলেন। তিনি আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা ও হৃদরোগে ভুগছিলেন বলে সেদিন সরকার থেকে জানানো হয়।
গত ২৭ আগস্ট কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বয়স্করা যেকোনও রোগের ক্ষেত্রে সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। তারা আগে থেকেই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত থাকেন। তারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন। যে কারণে বয়স্করা স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল থাকেন এবং সহজেই কাবু হয়ে যান।’