‘চিকিৎসককে হয়রানি করায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহতের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকতকে রাস্তায় অপমান ও অপদস্থ করায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। যা দেশব্যাপী চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

সোমবার ( ১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশ সেবায় নিবেদিত চিকিৎসককে অপমান ও অপদস্থ করার কারণে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে, যা দেশব্যাপী চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

এতে বলা হয়, বিএসএমএমইউ একজন চিকিৎসককে হয়রানি করার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চলমান করোনা চিকিৎসার স্বার্থে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে কর্মরত সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত কর্তব্যস্থল থেকে দায়িত্বপালন শেষে নিজ আবাসস্থলে ফেরত যাওয়ার পথে লকডাউনে পুলিশের টহলদলের সদস্যদের সঙ্গে কথোপকথনের চিত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। ডা. সাঈদা শওকত দায়িত্ব পালন শেষে প্রতিষ্ঠানের লোগো সম্বলিত গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু টহলদল তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি চিকিৎসক ও বিএসএমএমইউতে কর্মরত বলে জানান। কিন্তু চিকিৎসক পরিচিতিকে ‘ভুয়া’ বলা হয় এবং অসৌজন্যমূলক ভাবে তাকে গাড়ি হতে নামতে বলা হয়। অথচ সে সময় তিনি তার নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের আচরণে এবং তার পরিচিতি ভুয়া বলায় ডা. সাঈদা বিক্ষুব্ধ হন এবং পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হন, যার খণ্ডকালীন সচিত্র প্রতিবেদন সামাজিক মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।