দেশে টিকা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে

বাংলাদেশ টিকা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। রবিবার ( ৬ জুন) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন।

রোবেদ আমিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা নিজেরাও টিকা তৈরি করতে চাই। এ নিয়ে বেশ কিছু কাজ সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরও। বাংলাদেশে টিকা তৈরি করা হবে এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যেকোনও সময় আলোচনায় আসতে পারবো।’

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন।

দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ১১৪ জন। আর এই টিকাদান কর্মসূচি চলেছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকা ব্যবহার করে।

একইসঙ্গে চীন থেকে উপহার সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ১৬২ জনকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী আর চীনের নাগরিকেরা। চীন বাংলাদেশকে আরও ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিচ্ছে আর এই টিকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক রোবেদ আমিন।

রোবেদ আমিন বলেন, আজ দেশে সিনোভ্যাকের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, ফাইজারের টিকাও বাংলাদেশে চলে এসেছে। তবে ফাইজারের টিকা অন্য সব টিকার মতো নয়, এটা অন্য টিকার চেয়ে সেনসিটিভ। এর সংরক্ষণে জটিলতা রয়েছে। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে ফাইজারের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি না। কোথায় কাদের এই টিকা দেওয়া হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

‘রাশিয়া থেকে যে ভ্যাকসিন আসবে সেটিও আমাদের আলোচনার মধ্যে আছে। এসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে আমরা আশা করছি টিকা নিয়ে নিরাশ হওয়ার কিছু থাকবে না। সবাইকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে’—বলেন তিনি।