ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে মরচুয়ারি কুলার (মরহেদ রাখার ফ্রিজ) নিয়ে দুর্ভোগ বহুদিনের। যে ক’টি মরচুয়ারি কুলার রয়েছে সেগুলো বেশ পুরনো। প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। সেগুলো মেরামত করতে হয় মাঝে মাঝেই। নতুন দুটি কুলার স্থাপন করা হলেও টেনেটুনে চালাতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই পড়তে হয় বিপাকে। আবার পরিচয়হীন মরদেহ দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখার কারণেও দেখা দেয় সংকট। কর্তৃপক্ষ জানালো, মর্গের কুলার নিয়ে শিগগিরই কেটে যাবে জটিলতা।
ঢামেকের মর্গ সহকারী সেকান্দর আলী জানালেন, এখন পাঁচটি মরচুয়ারি কুলার রয়েছে। একটিতে চারটি করে ২০টি মরদেহ রাখা যায়। একটি আবার বিকল।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বড় দুর্ঘটনা ঘটলে সমস্যায় পড়তে হয়। সম্প্রতি মগবাজার ও রূপগঞ্জের ঘটনায় পরিচয় না পাওয়া সব মরদেহ ঢামেকের মরচুয়ারিতে রাখা যায়নি। এরপরও কোনোমতে ২৫টি মরদেহ রাখা হয়েছিল। বাকিগুলো সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল। এছাড়া, আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় তিন বিদেশির মরদেহও দীর্ঘদিন মরচুয়ারিতে পড়ে আছে।
কতটি মরদেহ রাখা যাবে সেই মরচুয়ারিতে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা এখনও জানতে পারেননি। আমরা শুধু স্থাপনার জন্য জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, রেডক্রস ও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া মরচুয়ারি স্থাপন হলে আর সমস্যা থাকবে না। ফরেনসিক বিভাগের মর্গকেও আরও আধুনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।