ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকাপ্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) টিকাপ্রার্থীদের চাপ দিন দিন বাড়ছে। ফলে লোকজনের সমাগম সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে সেটা ইতিবাচক, কিন্তু দুপুর পর্যন্ত এই ভিড় সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে। অন্য অনেক সেন্টারের নাম বাছাইয়ের সুযোগ থাকার পরও এখানে মানুষ বেশি আসছে। ফলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত থাকে ভয়াবহ চাপ, বিকালের পর থেকে তা কমে যায়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে টিকা নেওয়ার চাপ বেড়ে গেছে। আগে প্রতিদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সেন্টারে সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচশ’ রোগী টিকা নিতে আসতো। এখন চাপ এতোই বেড়েছে যে আরও একটি বাড়তি কেন্দ্র খোলা হয়েছে বর্হিরবিভাগে।

ঢামেকে টিকা প্রার্থীদের ভিড়খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দুই কেন্দ্রে চার ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ২৫শ’ থেকে ২৬শ’ মানুষকে দেওয়া হয় টিকা। বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হয়েছে ২৬শ’ জনকে। সামনে থেকে তিন হাজার ছাড়াবে। যারা টিকা নিতে আসছেন, লাইন ধরে গিয়ে টিকা নিচ্ছেন। শুধু টিকা নেওয়ারই লোক আসেন না, তাদের সঙ্গে বাড়ি থেকে আরও লোক আসেন।

টিকা নিতে আসার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী জানান, তিনি তার মাকে নিয়ে এসেছেন। মাকে নিয়ে তার ভাই দূরে বসে আছেন। সময় হলে নিয়ে আসবেন। সঙ্গে আর কেউ আছেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাসার কাজের সহকারী এসেছে।’

ঢামেকে টিকা প্রার্থীদের ভিড়একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, কেউ না কেউ সঙ্গে এসেছেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সিটের বাইরে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। অপরদিকে, করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসা লোকজন। সব মিলিয়ে লোকজনের সমাগম একটু বেশিই।’

ঢামেকে টিকা প্রার্থীদের ভিড়তিনি বলেন, ‘আগে করোনা রোগীর চাপ এত বেশি ছিল না। পাশাপাশি টিকা নেওয়ার লোকজনও ছিল খুবই কম। গত দুই তিন মাসে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন আমরা ভর্তি দিতে পারছি না, সিটের বিইরে রোগী ভর্তি নিচ্ছি, তাদের চিকিৎসাও দিয়ে যাচ্ছি।’