১০৮ দিন পর শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি

দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাতে দৈনিক শনাক্ত ১ হাজার জন ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাংশ। গত ২১ সেপ্টেম্বর করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবের পর শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদফতর এ হার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বলে জানিয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টা) করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৪৬ জন। গতকাল (৬ ডিসেম্বর) অধিদফতর এক হাজার ১৪০ জন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল। যা ছিল গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর একদিনে এক হাজার ১৭৮ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এর মাঝে একদিনে এত বেশি সংখ্যায় কোভিড আক্রান্ত আর হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ আর গতকাল চার দশমিক ৮৬ শতাংশের কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। বুধবার (৫ জানুয়ারি) শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন, গতকাল সাতজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল।

অধিদফতর জানাচ্ছে, নতুন শনাক্ত হওয়া এক হাজার ১৪৬ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে সরকারি হিসেবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৩ জন আর মারা যাওয়া একজনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ৯৮ জন।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২০ হাজার ৮৯০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ২০৪টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮০ লাখ ৭২ হাজার ৬০৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৫টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন একজন। তাকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ১২৯ জন। তাছাড়া, দেশে করোনায় পুরুষ মারা গেছেন মোট ১৭ হাজার ৯৬৯ জন।

করোনায় মৃত ওই নারীর বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তিনি ময়মনসিংহের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, গতবছর জুলাই-অগাস্টে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবের সময় দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর কমতে কমতে জুলাইয়ে ২ শতাংশের নিচে আসে। এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এরইমধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভয়াবহতা দেখতে শুরু করে বিশ্ব। ৩ জানুয়ারি দেশে দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৫ জানুয়ারিতে তা ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এবং এর দুই দিন পর তা পাঁচ শতাংশের বেশিতে চলে আসে।