বিশ্বব্যাপী শিশুদের মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটার ফলস্বরূপ তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, দেশে ২০২৩ সালে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এর মধ্যে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ২২৭ জন এবং কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৮ মে) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট অডিটোরিয়ামে ‘শিশুদের মনের যত্ন: মনোবল বৃদ্ধির উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঁচল ওয়েলবিং কর্নার (আঁচল ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসিরউল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট এ আয়োজন করে।
কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট জোহরা পারভীন, সাবিহা জাহান এবং সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা খাতুন। কীভাবে শিশুদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হয়ে দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলা যায় সে বিষয়টি কর্মশালায় তুলে ধরেন অতিথিরা।
অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিভাবকদের কিছু টিপস অ্যান্ড টুলস দিতে চেষ্টা করবো। কেউ যদি নিজ থেকে তাদের পরিবর্তন চায় এবং আমাদের কথাগুলো গ্রহণ করে তখন তারা এখান থেকে হেল্পফুল কিছু পেতে পারে।’
জোহরা পারভীন বলেন, ‘আমাদের পৃথিবীটা বৈশ্বিক গ্রামে রূপান্তরিত হওয়ার জন্যই জেনারেশনাল গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। গত দুই বছরে এই পরিবর্তনের মাত্রা বেশি। এখনকার শিশুদের মধ্যে যে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে তার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে পরিবেশ, সংস্কৃতি ও এখনকার ধারা। কর্মশালাটি এ বিষয়ে সচেতনতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে।’
জোবেদা খাতুন বলেন, ‘বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। আমাদের দেশের ইকোনোমিকাল ক্রাইসিসের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাব-মা উভয়কেই কাজ করতে হচ্ছে। মোবাইল ফোন শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও ব্যবহার করছে। আমাদের কাছ থেকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও গল্প জেনে তারা উপকৃত হবেন।’
সাবিহা জাহান মনে করেন কর্মশালাটিতে অতিথিদের অভিজ্ঞতা ও গল্পগুলো শুনে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে পারে।