রোজার মধ্যেও টিকা দেওয়া হবে, গণটিকা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত

করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম রমজানেও নিয়মিত চলবে। সেই সঙ্গে গণটিকা কার্যক্রম আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিডে বর্তমানে দেশ ভালো অবস্থায় আছে। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গোটা দেশবাসী কোভিড নির্মূলে একযোগে একে অপরকে সহায়তা করেছে। তবে, এর মাঝেও টেলিমেডিসিন সেবা বৃদ্ধি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আইসিইউ সংখ্যা বৃদ্ধি, সময় মতো ভ্যাকসিন আনা, টাকার জোগান দেওয়া, ভ্যাকসিন সোর্স বের করাটাও কোভিড নির্মূলে কম ভূমিকা রাখেনি।’

টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সময় মতো আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি। যথাসময়ে ভ্যাকসিন আনা হয়েছে, টাকার সংস্থান করা হয়েছে। সময় মতো ভ্যাকসিনের সোর্স পাওয়া গেছে। অনেক দেশই ভ্যাকসিনের সোর্সিং করতে পারেনি।’

ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৩ কোটি প্রথম ডোজ, ১১ কোটির বেশি দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’

তিনি জানান, এটা একটা বিরাট কাজ এবং এখনও হাতে পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে এবং পাইপলাইনে আরও ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখনও যারা টিকা নেননি, তারা টিকা নিলে দেশ আরও বেশি উপকৃত হবে। আর এসব কথা বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরও তিন দিনের জন্য বাড়ানো হলো। এখন থেকে গণটিকা কার্যক্রম ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আগের নিয়মে চলমান থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘রোজার মধ্যেও কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত টিকা দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানসহ অন্যরা।