করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং গর্ভবতীদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (নাইট্যাগ)। একই সঙ্গে আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের গণটিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ইপিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।

তবে এ বিষয়ে এখনই কোনও পরামর্শ দেয়নি করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। বুধবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা মো. শহিদ্দুলা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও এ বিষয়ে কোনও কিছু আসেনি। এলে আমরা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবো।’

ডা শামসুল জানান, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (নাইট্যাগ)। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, ও সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের শিগগিরই টিকা দেওয়া শুরু করবো।

টিকার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৭ ভাগ পেয়েছে প্রথম ডোজ। ৭৩ ভাগ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার পেয়েছে ৫২ ভাগ মানুষ। এ অবস্থায় আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে সারা দেশে। এ ক্যম্পেইনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ মানুষকে। ক্যাম্পেইনে শুধু টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৮৭ ভাগ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। ৭৩ শতাংশ মানুষ পেয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। এছাড়া বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৫২ শতাংশ।

প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া অফিসিয়ালি বন্ধ হয়েছে। তবে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যে কেউ প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন টিকা প্রয়োগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।