ডেঙ্গু টিকার ট্রায়ালে কার্যকারিতার ‘সাড়া মিলেছে’, সহযোগিতার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

দেশে ডেঙ্গু রোগের ভ্যাকসিন ‘টিবি-০০৫’-এর দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি। দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে টিকার কার্যকারিতার ‘উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলেছে’ বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে জানা যায়, কম বয়সী ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। ভবিষ্যতে এই টিকা প্রদানে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল প্রয়োজন। আর এজন্য প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা। সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে, তা এখনও ট্রায়াল অবস্থায় আছে। আইসিডিডিআরি,বি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর আগে কলেরার টিকা আবিষ্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়ে তারা যে সহযোগিতা চাইবে, তা আমরা করবো।’

দেশে ডেঙ্গুতে ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো চাই না একজন মানুষও এই রোগে মারা যাক। আমরা ৭ লাখের মতো স্যালাইন আমদানি করছি। এর মাঝে ৩ লাখ স্যালাইন চলে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের বর্তমান যে চাহিদা, তাতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যাগ প্রয়োজন। তবু আমরা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্যালাইন আমদানি করছি। এছাড়া কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইলেও আমদানি করতে পারবে।’