শর্ত পূরণ করলেই মিলবে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়ালের অনুমতি

করোনা প্রতিরোধে গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্সের’ হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়া যাবে শর্ত সাপেক্ষে। বুধবার (১৬ জুন) এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত প্রটোকল পেপারে কিছু ত্রুটি থাকায় তা সংশোধন করার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।  সংশোধন করার পর ‘বঙ্গভ্যাক্সের’ হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হবে।

বিএমআরসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন জানান, সরাসরি অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলা যাবে না। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে। ভুল-ত্রুটি ঠিক করলে আমরা অনুমতি দিয়ে দেবো। শর্ত পূরণ করলে অনুমোদন দেওয়া হবে।’

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি এই টিকার ট্রায়ালের জন্য নৈতিক ছাড়পত্র পেতে ১০ হাজার পৃষ্ঠার প্রটোকল পেপার বিএমআরসির কাছে জমা দেয় গ্লোব বায়োটেকের পক্ষে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। তার আগে ২৮ ডিসেম্বর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে টিকা উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পায় বঙ্গভ্যাক্স।

বঙ্গভ্যাক্সের পাশপাশি আরও দুটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি টিকা হলো— ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ও চীনের সিনোভ্যাকের করোনাভ্যাক।

বিএমআরসির পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ‘বিএমআরসিতে আবেদন করা তিন প্রতিষ্ঠানকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে কতগুলো নিয়ম অবশ্যই পালন করতে হবে। প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বানরের ওপর চালাতে হবে। মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এসব নিয়মনীতি মেনে করলে অবশ্যই আমরা অনুমোদন দিতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে তিনটা কোম্পানি প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছে, সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আজ  বৈঠক হয়েছে। নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবো। প্রয়োজন হলে তিন কোম্পানির সিআরও প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা জানতে যেকোনেও সময় তাদের ডাকা হতে পারে।’