তিনি জানান, প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে শিহাব জানিয়েছে, এটাই ছিল তার প্রথম অপারেশন। সে নিজে টুটুলের ওপর চাপাতি দিয়ে তিনটি কোপ দিয়েছিল। তবে শরিফ নামের একজনের নেতৃত্বে তাদের ওই অপারেশন সফল হয়নি।
যে ছয় জঙ্গিকে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, শিহাব তাদের একজন। তাকে ধরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার ওভারব্রিজ এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে শিহাবকে গ্রেফতার করা হয়। সে শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।
হামলার আগে সুমন মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে আনসারুল্লাহর বোমা তৈরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। টুটুলের ওপর হামলার ঘটনার এক দেড়মাস আগে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তাদের ঢাকার মহাখালীর এক বাসায় রাখা হয় এবং চাপাতি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুদ্ধস্বরে হামলার টিমের প্রধান ছিলো শরিফ।
মনিরুল জানান, গত বছরের ৩১ অক্টোবর শনিবার আনসারুল্লাহর দুই দল হামলা চালায়। সেলিম নামের একজনের নেতৃত্বে শাহবাগে এবং শরিফের নেতৃত্বে লালমাটিয়ায় হামলা চালানো হয়। হামলা চালানোর পর চট্টগ্রামে ফিরে গিয়ে একটি কোম্পানিতে কাজে যোগ দেয় শিহাব।
মনিরুল ইসলাম জানান, শরিফকে ধরা গেলে আরও ওপরের জঙ্গিদের ধরা যাবে। সুমন প্রাথমিক পর্যায়ের সদস্য।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই সময় লালমাটিয়া সি-ব্লকের ৮১৩ নম্বর বাসায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। হামলায় শুদ্ধস্বরের স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিম গুরুতর আহত হন। ফয়সল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশিদ টুটুল দুজনই মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক।
/জেইউ/এফএস/এজে