৩ শিশু সন্তানের কথাও ভাবেনি জঙ্গিরা



ঢামেকে নিয়ে আসা গুলিবিদ্ধ তিন নারী জঙ্গিনিজ তিন শিশু সন্তানের কথাও ভাবেনি জঙ্গিরা। জঙ্গি আস্তানায় নিজেদের সঙ্গেই তারা রেখেছিল তিন শিশু সন্তানকে। আজিমপুরে অভিযানের পর পুলিশ তাদের তিন শিশুকে উদ্ধার করেছে। এক শিশুর বয়স মাত্র এক বছর। অন্যদের বয়স ছয় থেকে আট বছরের মধ্যে। তিন শিশুকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় আজিমপুরের বিজিবি সদর দফতরের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বরের হাজী কায়সারের বাড়িতে অভিযান চালায়। তখনই নারী জঙ্গিরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্যরা আহত হন।

নিহত জঙ্গি করিমউদ্ধার হওয়া তিন শিশুর মধ্যে ছেলে শিশুটি হচ্ছে জঙ্গি করিমের। আজিমপুরের এ অভিযানে পুলিশের গুলিতে মারা যায় জঙ্গি করিম। অন্য দুই শিশু হচ্ছে জঙ্গি মেজর জাহিদুল ইসলামের। অভিযানের পর শিশুদের ভয়ার্ত দেখা গেছে।

এই জঙ্গি করিমই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে ব্যবহার করে জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্নস্থানে বাসা ভাড়া নিতো। এর আগে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েও জঙ্গি করিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। সর্বশেষ, আজিমপুরের অভিযানে মারা যায় করিম।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, নারী জঙ্গিদের অতর্কিত হামলার পাশাপাশি পুরুষ জঙ্গি সদস্য তাদের লক্ষ করে বোমা হামলা চালায়। বোমার স্প্রিন্টার ও ছুরিকাঘাতে আহত হন পুলিশের পাঁচ সদস্য। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে জঙ্গি করিম নিহত ও তার স্ত্রীসহ তিন নারী জঙ্গি আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আটক নারী জঙ্গি শারমিনআহত তিন নারীর একজন হচ্ছে, মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা। আরেকজন কে সে তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে এই তিন নারীই জঙ্গি দলের আত্মঘাতী দলের সদস্য বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছানোয়ার।

/জেইউ/এবি/

আরও পড়ুন
জঙ্গি করিম আত্মঘাতী হয়েছে: এডিসি ছানোয়ার

কে এই জঙ্গি করিম?

দরজা খুলেই নারী জঙ্গিরা ছুড়ে মারে মরিচের গুঁড়া

‘মেজর’ জাহিদের স্ত্রীসহ ৩ নারী জঙ্গি আটক