নারী কনস্টবলদের যৌন হয়রানির ব্যাখ্যা দিলো পুলিশ সদর দফতর

যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বেসরকারি একটি সংস্থার জরিপে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশ সদস্যদের ১০ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার বলে যা দাবি করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। পাশাপাশি, নারী পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন কোনও নজির নেই বলেও দাবি করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এর ব্যাখ্যা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এ বাহিনী।

বিজ্ঞপ্তিতে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের (সিএইচআরআই) ওই  জরিপকে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর গবেষণা দাবি করে পুলিশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—

‘বাংলাদেশ পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। পুলিশে নারীর পদযাত্রা সূচিত হয় ১৯৭৪ সালে। বর্তমানে নারী পুলিশের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৮ জন।  প্রতিনিয়ত পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। জেন্ডার সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এর উন্নয়ন ঘটছে। নারী পুলিশ সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ দেশে বিদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।’

‘জরিপে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশ যৌন হয়রানির শিকার বলে যে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, তা অসত্য/ভিত্তিহীন। বাংলাদেশ পুলিশে কোন নারী পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন কোন নজির নেই। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগও পাওয়া যায়নি।’

‘নারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি কোনও নিপীড়ন/বৈষম্যমূলক আচরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। তারা কর্মক্ষেত্রে তাদের যে কোন অসুবিধার কথা সার্বক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করতে পারেন এবং এ ধরনের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। এছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নারী পুলিশ সদস্যদের অধিকার সুরক্ষায় অত্যন্ত সজাগ ও সোচ্চার।’

‘গবেষণা প্রতিবেদনটি পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ১১ হাজারের অধিক নারী পুলিশের মধ্যে মাত্র ২২৭ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে তা তথ্য নির্ভর নয় বলে প্রতীয়মান হয়। কারণ পত্রিকায় এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর নারী পুলিশ এবং নারী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিস্মিত হয়েছেন এবং তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের নিয়ে এ ধরনের মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।’

/এআরআর/এইচকে/