‘আমরা অনুতপ্ত, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাই’

রাজধানীর পূর্ব আশকোনায় পরিচালিত অপারেশন রিপল ২৪-এ আত্মসমর্পণকারী দুই নারী জঙ্গি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের দুই বিচারকের কাছে তারা পৃথকভাবে জবানবন্দি প্রদান করেন।

পুলিশের পাহারায় দুই নারী জঙ্গি (বোরকা পরিহিত)আদালত সূত্রে জানা যায়, পৃথক জবানবন্দিতে মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার ওরফে শীলা ওরফে সুমাইয়া ওরফে মারজুন (৩৪) ও মাইনুল ইসলাম ওরফে আবু মুসার স্ত্রী তৃষামনি ওরফে উম্মে আয়শা (২২) জানান, তারা মূলত স্বামীর প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে এই জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তারা অনুতপ্ত, এই জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মতো কুকর্মের জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলামের খাস কামরায় প্রথমে জবানবন্দি দেন জেবুন্নাহার শিলা। অপরদিকে, তৃষামনি জবানবন্দি দেন অপর হাকিম খুরশীদ আলমের খাস কামরায়। পরে এই দুই নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতরে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই নারী জঙ্গির সঙ্গে তাদের দুই বাচ্চা রয়েছে। মায়ের সঙ্গে তাদেরও কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, দ্বিতীয় দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে এই দুই নারী জঙ্গিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরিরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক সাইয়েদুর রহমান আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহনের আবেদন করেন। পরে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর দক্ষিণ খানের পূর্ব আশকোনায় পুলিশ অপারেশন রিপল ২৪ পরিচালনা করে। এসময় জঙ্গি সুমনের স্ত্রী নারী জঙ্গি সারিকা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। অভিযান চলাকালে গুলিতে নিহত হয় আফিফ কাদেরী নামে আরেক কিশোর। পরে শীলা ও তৃষামনি পুলিশের কাছে সন্তান আত্মসমর্পণ করে।

/এসআইটি/এমও/