বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে খুনের অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাদ থেকে পড়ে আহত গৃহবধূ স্বর্ণা খাতুন (১৯) মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বর্ণার মৃত্যুএর আগে, গত ১১ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ওঠে তার স্বামী নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে স্বর্ণার স্বামী নাজমুল হোসেন তখন জানিয়েছিলেন, তার স্ত্রী স্বর্ণা বাড়ির ৬ তলা থেকে নিজেই লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

স্বর্ণার মা কাজলী বেগম জানান, উত্তরা ইউনিভার্সিটির অনার্সের ছাত্রী স্বর্ণাকে প্রায় ৮মাস আগে আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় ইলিকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র নাজমুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর স্বর্ণাকে নিয়ে শনির আখড়ায় মাতুয়াইল রহমতের বাড়ির ৫ম তালার ভাড়া বাসায় উঠে বিদ্যুৎ। গত কিছুদিন যাবত স্বর্ণাকে তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ লেগেই ছিল।

ঘটনার দিন কাজলী বেগম মেয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার বিকালে স্বর্ণা তার মায়ের পাশে শুয়ে ছিল। বিদ্যুৎ তাকে ডেকে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানতে পারেন স্বর্ণা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাজমুল ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে বিদ্যুতকে আটক করে ঢামেক ফাঁড়ি পুলিশ। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

/এআইবি/এমও/